*আমল 
আছে, যা পাঠকারী কখনো বঞ্চিত হবেনা। ৩৩ বার ‘সুব্হানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আল্হাম্দুলিল্লাহ’ ও ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবর’। -মুসলিম।
একবার সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক, সূরা নাস পাঠ করবে। (সূরাগুলির জন্য ৬ নং আমল দেখুন।)
দলীলঃউকবা ইবনে আমির (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ আমাকে প্রত্যেক নামাযের পর মুআ’উয়েযাত অর্থাৎসূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করার আদেশ দিয়েছেন।”
মাগরিব ও ফজরের ছলাতের পর উক্ত তিনটি সূরা তিন বার পড়বে।
দলীলঃউকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ  আমাকে প্রত্যেক নামাযের পর ‘মুআওয়েযাত’ (তথা কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরাব্বিন্নাস) পড়ার আদেশ দিয়েছেন।”
একবার আয়াতুল কুরসী পাঠ করা। আয়াতুল কুরসীর জন্য আমল নং -১৩ দ্রষ্টব্য।
ফায়েদাঃযে ব্যক্তি এই যিকির করবে, তার জান্নাতের রাস্তা সহজ হয়ে যাবে।
দলীলঃআবু উমামা (রাঃ) বলেনঃ “রাসূলুল্লাহ  বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর ‘আয়াতুল কুরছি’ পড়বে তাকে মৃত্য ব্যতীত অন্য কোন বস্তু বেহেশতে যাওয়া থেকে বাধা দিতে পারবেনা।”
মাগরিব ও ফজরের পর ১০ বার এই যিকির পড়বে-
لاَإِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ ، لاَشَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِ وَيُمِيْتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَي كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر .
উচ্চারণঃ-“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহয়ী ওয়া য়ুমীতু বিয়াদিহিল খায়রু, ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।”
ফায়েদাঃযে ব্যক্তি ফজরের পর এই দুঅ’া পড়বে, সে সবচেয়ে উত্তম আমলকারী হবে।
দলীলঃআবু উমামা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ  বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর উভয় পা ফিরানোর পূর্বে একশতবার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা --।” পড়বে, সে সেদিন পৃথিবীবাসীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আমলকারী হবে। তবে যে ব্যক্তি তার মত বলবে কিংবা তার চেয়ে বেশী বলবে তার কথা ভিন্ন।
একবার এই দুঅ’া পড়বে-
أَللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
উচ্চারণঃআল্লাহুম্মা আইন্নী আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে তোমার যিকির, শুকর এবং উত্তমরূপে