
প্রশ্নের মুখোমুখি। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ মনে শাহাদাতের প্রার্থনা করবে আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করবেন। যদিও সে স্বীয় বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। -সহিহ মুসলিম বর্ণিত হাদিস দ্বারা এটাও বোঝা যায় যে, শুধু নিয়তের আমলটির কারণে যে কোনো মহৎ ও ফজিলতপূর্ণ আমলের সওয়াব তাদের মতোই পাওয়া যাবে; যারা কষ্ট-সাধনার মাধ্যমে নিজেরা এই আমলগুলো সম্পাদন করেছে। অথচ সে ব্যক্তি পূর্ণ ইখলাসের সঙ্গে ওই আমলের শুধু নিয়তই করেছিল। আর কিছুই করতে পারেনি। অতএব, যে কোনো উত্তম ও কল্যাণমূলক কাজের জন্য ইখলাসের সঙ্গে বেশি বেশি নিয়ত করা উচিত। সঙ্গে সঙ্গে বেঁচে থাকা উচিত ভ্রষ্ট নিয়ত এবং ভ্রান্তলক্ষ্য মনে পোষণ করা থেকে।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম একজন শহীদকে ডাকা হবে এবং তার ওপর আল্লাহর দেয়া নেয়ামতগুলো একে একে স্মরণ করানো হবে। অতঃপর জিজ্ঞাসা করা হবে, তুমি কি এসব নেয়ামত ভোগ করেছিলে? সে স্বীকার করে নিবে। বলবে, হ্যাঁ, এসব নেয়ামত আমি ভোগ করেছি। তখন আল্লাহ বলবেন, ওই সব নেয়ামতের শোকরিয়ায় তুমি কী আমল করেছ? সে বলবে, আমি আপনার রাস্তায় লড়াই করে শাহাদাত বরণ করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ; তুমি তো এজন্য লড়াই করেছ, যেন তোমাকে বীর উপাধি দেয়া হয়। তা তো দেয়া হয়েছে। অতঃপর আল্লাহতায়ালার নির্দেশে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
এরপর দ্বিতীয় ব্যক্তিকে আনা হবে, যে নিজে ইলম শিখেছে, কোরআন পড়েছে এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছে। তাকেও পূর্ববর্তী ব্যক্তির মতো আল্লাহতায়ালার নেয়ামতগুলো স্মরণ করানো হবে এবং সে তা স্বীকার করে নিবে। আল্লাহতায়ালা প্রশ্ন করবেন, এর প্রতিদানে তুমি কী আমল করেছ? সে বলবে, আমি তোমার জন্য ইলম শিখেছি, কোরআন পড়েছি এবং অপরকে শিখিয়েছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছ; বরং তুমি তো এজন্য ইলম শিখেছ, যাতে লোকে তোমাকে আলেম বলে। তা তো বলা হয়েছে। অতঃপর তাকে আল্লাহর নির্দেশে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
তৃতীয় আরেক ব্যক্তিকে হাজির করা হবে, যে ছিল বিত্তশালী যাকে আল্লাহতায়ালা প্রচুর সম্পদ ও ঐশ্বর্য দান করেছিলেন। পূর্বোক্ত দুই ব্যক্তির মতো তাকেও আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে