*স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মহানবী (সা.) খেতে বলেছেন 
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মহানবী (সা.) যে খাবার খেতে বলেছেন

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেক মানুষেরই স্মৃতিশক্তি কম থাকে। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরী। স্বাস্থ্যকর খাবার অর্থ শুধু মাছ বা মাংস খাওয়া নয়। মহানবী (সা.) নিজে যে খাবার খেতেন এবং যে খাবার গুলো উনার উম্মতদের খেতে বলেছেন সেগুলো হলো-
 
১। ডালিম-বেদানা
বেদানার পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণের পাশাপাশি এটার ধর্মীয় একটি দিক আছে এবং নবীজী (সাঃ) বলতেন, এটা আহারকারীদের শয়তান ও মন্দ চিন্তা থেকে বিরত রাখে।
 
২। মধু
মধুর নানা পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণ রয়েছে। মধুকে বলা হয় খাবার, পানীয় ও ওষুধের সেরা। হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে মধু পান ডায়রিয়ার জন্য ভালো। খাবারে অরুচি, পাকস্থলীর সমস্যা, হেয়ার কন্ডিশনার ও মাউথ ওয়াশ হিসেবে উপকারী।
 
৩। আঙ্গুর
নবীজী (সাঃ) আঙ্গুর খেতে অত্যন্ত ভালবাসতেন। আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম। এই খাবারের উচ্চ খাদ্য শক্তির কারণে এটা থেকে আমরা তাৎক্ষণিক এনার্জি পাই এবং এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আঙ্গুর কিডনির জন্য উপকারী এবং বাওয়েল মুভমেন্টে সহায়ক। যাদের আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম আছে তারা খেতে পারেন।
 
৪। দুধ
দুধের খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ বর্ণনাতীত। দেড় হাজার বছর আগে বিজ্ঞান যখন অন্ধকারে তখন নবীজী (সাঃ) দুধ সম্পর্কে বলেন, দুধ হার্টের জন্য ভালো। দুধ পানে মেরুদন্ড সবল হয়, মস্তিষ্ক সুগঠিত হয় এবং দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। আজকের বিজ্ঞানীরাও দুধকে আদর্শ খাবার হিসেবে দেখেন এবং এর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অস্থিগঠনে সহায়ক।
 
৫। ফল
যে সমস্ত ফল এবং সবজিতে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা মস্তিষ্কের পক্ষে খুবই ভালো। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ব্লুবেরি ও স্ট্রবেরিতে থাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মনোযোগ এবং শর্ট টার্ম মেমরি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
 
৬। ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে কোলিন থাকে যা শরীরে নিউরোট্রান্সমিটার অ্যাসিটিলকোলিন তৈরি করতে সাহায্য করে। শরীরে যদি সঠিক পরিমাণে অ্যাসিটিলকোলিন