
ঈমান
ঈমান ও আকিদা
ঈমান ও আকিদা মানব জীবনের এমন বিষয় যা তার জীবনের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়। এটা এমন এক ভিত্তি যাকে অবলম্বন করেই মানুষ তার সমগ্র জীবনধারা পরিচালনা করে। যে মৌলিক জীবনদর্শনকে কেন্দ্র করে দুনিয়ার বুকে মানুষ আবর্তিত হচ্ছে, যে আদর্শ ও বিশ্বাসকে লালন করে তার সমগ্র জীবন পরিচালিত হচ্ছে তাকে ইসলামী পরিভাষায় 'আকিদা' শব্দ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। কোনো অবকাঠামো যেমন ভিত্তি ছাড়া অকল্পনীয়, তেমনিভাবে একজন মুসলিমের জীবনে আকিদা ও বিশ্বাসের দর্শন একটি অপরিহার্য বিষয়, যা ব্যতীত সে মুসলিম হিসেবে সম্বোধিত হওয়ার অধিকার ও দাবি হারিয়ে ফেলে। এটা এমন এক অতুলনীয় শক্তির আধার, যা একজন মুসলমানকে তার আদর্শের প্রতি শতভাগ আস্থাবান করে তোলে এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটাতে বিরামহীনভাবে সচেষ্ট রাখে। অপর পক্ষে মানবজগতের যাবতীয় পথভ্রষ্টতার মূলে রয়েছে এই মৌলিক আকিদা থেকে বিচ্যুতি হওয়া। এজন্য একজন মুসলমানের জন্য ঈমান-আকিদার ব্যাপারে সুস্পষ্ট জ্ঞান রাখা এবং সে বিশ্বাসের যথার্থতা নিশ্চিত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বিশ্বাসের বিশুদ্ধতা ব্যতীত কোনো ব্যক্তি প্রকৃত অর্থে মুসলিম হতে পারে না। প্রতিটি কথা ও কর্ম যদি বিশুদ্ধ আকিদা ও ঈমান থেকে নির্গত না হয় তবে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ বলেন, 'যে ব্যক্তি ঈমানের বিষয়ে অবিশ্বাস রাখে তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।' (সূরা মায়েদা : ৫)। তিনি আরও বলেন, '(হে নবী!) তোমাকে এবং তোমার পূর্বসূরিদের আমি প্রত্যাদেশ করেছি যে, যদি তুমি আমার শরিক স্থাপন করো, তবে তোমার যাবতীয় শ্রম বিফলে যাবে এবং তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।' (সূরা জুমার : ৬৫)। মানুষ যুগে যুগে পথভ্রষ্ট হয়েছে মূলত আকিদার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ঘটার কারণে। এজন্য বিষয়টি সূক্ষ্মতা ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে জানা অপরিহার্য।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য :
'আকিদা' শব্দটি প্রায়ই ঈমান ও তাওহিদের সঙ্গে গুলিয়ে যায়। অস্বচ্ছ ধারণার ফলে অনেকেই বলে ফেলেন, আকিদা আবার কি? আকিদা বিশুদ্ধ করারই বা প্রয়োজন কেন? ঈমান থাকলেই যথেষ্ট। ফলে দ্বীন সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে এক বড় ধরনের অপূর্ণতা সৃষ্টি হয়, যা প্রায়ই মানুষকে
ঈমান ও আকিদা মানব জীবনের এমন বিষয় যা তার জীবনের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়। এটা এমন এক ভিত্তি যাকে অবলম্বন করেই মানুষ তার সমগ্র জীবনধারা পরিচালনা করে। যে মৌলিক জীবনদর্শনকে কেন্দ্র করে দুনিয়ার বুকে মানুষ আবর্তিত হচ্ছে, যে আদর্শ ও বিশ্বাসকে লালন করে তার সমগ্র জীবন পরিচালিত হচ্ছে তাকে ইসলামী পরিভাষায় 'আকিদা' শব্দ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। কোনো অবকাঠামো যেমন ভিত্তি ছাড়া অকল্পনীয়, তেমনিভাবে একজন মুসলিমের জীবনে আকিদা ও বিশ্বাসের দর্শন একটি অপরিহার্য বিষয়, যা ব্যতীত সে মুসলিম হিসেবে সম্বোধিত হওয়ার অধিকার ও দাবি হারিয়ে ফেলে। এটা এমন এক অতুলনীয় শক্তির আধার, যা একজন মুসলমানকে তার আদর্শের প্রতি শতভাগ আস্থাবান করে তোলে এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটাতে বিরামহীনভাবে সচেষ্ট রাখে। অপর পক্ষে মানবজগতের যাবতীয় পথভ্রষ্টতার মূলে রয়েছে এই মৌলিক আকিদা থেকে বিচ্যুতি হওয়া। এজন্য একজন মুসলমানের জন্য ঈমান-আকিদার ব্যাপারে সুস্পষ্ট জ্ঞান রাখা এবং সে বিশ্বাসের যথার্থতা নিশ্চিত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বিশ্বাসের বিশুদ্ধতা ব্যতীত কোনো ব্যক্তি প্রকৃত অর্থে মুসলিম হতে পারে না। প্রতিটি কথা ও কর্ম যদি বিশুদ্ধ আকিদা ও ঈমান থেকে নির্গত না হয় তবে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ বলেন, 'যে ব্যক্তি ঈমানের বিষয়ে অবিশ্বাস রাখে তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।' (সূরা মায়েদা : ৫)। তিনি আরও বলেন, '(হে নবী!) তোমাকে এবং তোমার পূর্বসূরিদের আমি প্রত্যাদেশ করেছি যে, যদি তুমি আমার শরিক স্থাপন করো, তবে তোমার যাবতীয় শ্রম বিফলে যাবে এবং তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।' (সূরা জুমার : ৬৫)। মানুষ যুগে যুগে পথভ্রষ্ট হয়েছে মূলত আকিদার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ঘটার কারণে। এজন্য বিষয়টি সূক্ষ্মতা ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে জানা অপরিহার্য।
ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য :
'আকিদা' শব্দটি প্রায়ই ঈমান ও তাওহিদের সঙ্গে গুলিয়ে যায়। অস্বচ্ছ ধারণার ফলে অনেকেই বলে ফেলেন, আকিদা আবার কি? আকিদা বিশুদ্ধ করারই বা প্রয়োজন কেন? ঈমান থাকলেই যথেষ্ট। ফলে দ্বীন সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে এক বড় ধরনের অপূর্ণতা সৃষ্টি হয়, যা প্রায়ই মানুষকে