
বিবর্তনে ও সময়ের পরিবর্তনে প্রত্যেক জাতির রোজার পদ্ধতি ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য অভিন্ন। আর তা হলো আধ্যাত্মিক উন্নতি-আল্লাহভীতি অর্জন। আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জনের জন্য আহলে কিতাব বা ঐশী ধর্মগুলো ছাড়াও অন্যান্য ধর্মে বিভিন্নভাবে আত্মসংযমের শিক্ষা দেয়া হয়। যেমন হিন্দুধর্মের উপবাস, বৌদ্ধ ধর্মের সংসার ত্যাগ আধ্যাতিক উন্নতির সোপান বলে মনে করা হয়। আর ইসলামী বিধান অনুযায়ী আধ্যাত্কিতা অর্জনের প্রধান মাধ্যম রমজান মাসের সিয়াম সাধনা। অর্থাৎরোজার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধিত হয়। রোজা শুধু আবশ্যকীয় ইবাদতই নয়; বরং আত্মিক উন্নতি ও নৈতিক উৎকর্ষ সাধনেও এর ভূমিকা ব্যাপক। কাম-ক্রোধ, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি মানবিক কুপ্রবৃত্তি থেকে দূরে রাখে রোজা। শয়তানের প্ররোচনা ও নফসের কুমন্ত্রণা থেকে আত্মাকে হেফাজত রাখতেও রোজার ভূমিকা অগ্রগণ্য। এ জন্যই রাসূল সা: রোজাকে ‘ঢাল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রোজার মাধ্যমেই একজন মুসলিম কৃচ্ছ্র সাধন করে নিজেকে আত্মসংযমী করে গড়ে তুলতে পারে। সিয়ামের কঠোর শৃংখলা ও নিয়ন্ত্রণ রোজাদারকে প্রকৃত মুসলিম হওয়ার সুযোগ করে দেয়। মুসলমানেরা রোজার মাধ্যমেই মহান আল্লাহর সাথে গভীর ও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। রোজার মাধ্যমেই মানবহৃদয়ে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি সৃষ্টি হয়। রোজাদার ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হয়েও শুধু মহান আল্লাহর ভয়ে পানাহার ও অন্যান্য বর্জনীয় বিষয় থেকে বিরত থাকে। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা লাভের আশায় ইন্দ্রিয় স্বাদ-তৃপ্তি থেকে বিরত থাকেন রোজাদার। তাকওয়া অর্জন ও তাকওয়াভিত্তিক জীবন গঠনই সিয়াম সাধনার প্রধান উদ্দেশ্য। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, মহান আল্লাহ তায়ালা তাকওয়া অর্জনের উদ্দেশ্যেই রমজানের রোজাকে ফরজ বা আবশ্যকীয় করেছেন। অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে রোজার পদ্ধতি ও মর্যাদা ভিন্ন। স্বাভাবিক কারণেই নামাজসহ অন্যান্য ইবাদত প্রদর্শিত হয়। কিন্তু রোজা কোনোরূপ প্রদর্শন ছাড়াই নীরবে-নিভৃতে পালন করা যায়। রোজার গোপনীয়তা সম্পূর্ণ ব্যক্তির ইচ্ছাধীন। এ জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রোজার জন্য বিশেষ প্রতিদানের ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে কুদসিতে উল্লেখ আছে,
‘মহান আল্লাহ বলেন, আদম সন্তানের
‘মহান আল্লাহ বলেন, আদম সন্তানের